ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বি এসে বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক আত্মসাৎ কৃত টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মাহাবুব আলম রিপোর্টার

ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক” কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার নামে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবী।

আমরা উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে গমনেচ্ছু সহস্রাধিক প্রতারিত শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

ক্যামব্রিয়ান এডুকেসন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক (প্লট-২২, ৩য় তলা, সার্কেল- ২. গুলশান, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ) বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং পৃথিবীর উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা গ্রহণ করে এবং কলেজে সেশন ফি বাবদ যে টাকাগুলো দেওয়া হয় তা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে উক্ত কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেটি না করে মানি লন্ডারিং আইন বহির্ভূত কাজ করে। সেই টাকাগুলো আমাদের থেকে নিয়ে সে আত্মসাৎ করেছে।

মূলত সেই কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা গুলো স্টুডেন্ট একাউন্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু সেটি সে করেনি এবং বিদেশী কলেজ গুলোর ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে টাকা না পাঠিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এরকম ভুক্তভোগীর সংখ্যা শহস্রাধিক ও প্রত্যেকের পাওনা টাকার পরিমান গড়ে ২০ লক্ষ টাকা। তাঁদের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী ৮৫০+ শিক্ষার্থী। আমাদের ধারনা ২০০০+শিক্ষার্থীর মোট টাকা ৫শ কোটি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। বিগত সরকারের আমলে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করে। যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন বিপর্যন্ত হয়, এবং উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় এবং আর্থিকভাবে প্রতিটি পরিবার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে অনেক দেন- দরবার করার পর পাওনা টাকার বিপরীতে বিএসবি কর্তৃপক্ষ অনেক পাওনাদারকে বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল বাশার বাহার স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করে যা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে এবং পরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে যেলে বিএসবির চেয়ারম্যান খাইরুল বাশারের গুন্ডাবাহিনী আক্রমন চালায়। এছাড়া পাওনাদারদের ক্রমাগত টাকা না দেবার হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ২৭-৮-২০২৪ ইং তারিখে বিএসবির চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে এই মার্থ স্ট্যাম্প পেশারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, সমুদয় পাওনা টাকা ও কিস্তিতে যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সকলকে পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অর্থ প্রদানে বার্থ হয় ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ও সেখানে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। যা গুলশান থানা প্রশাসন অবগত আছেন।।

এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে টাকা উদ্ধার ও নিরাপত্তার জন্য অনেকে জিডি, প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছে এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা-আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর কার্যক্রম আনুমানিক ৩৫-৪০ দিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে ও অদ্যাবধি বন্ধ আছে এবং সকল মোবাইল না বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করছে না। এবং চেয়ারম্যান মে খাইরুল বাশার অজ্ঞাতস্থানে আত্মগোপনে রয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, এমতবস্থায় নিরুপায় হয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মাম- হাবীর শিক্ষাজীবন বিপর্যয়ের হাত

থেকে রক্ষা ও ভবিষ্যতে যেন কোন শিক্ষার্থী প্রতারিত না হয়, সেজন্য আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার, সেইসাথে অধিক প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এবং ক্যামব্রিয়ান এডুকোন এপ এর চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল বাশার ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন তথা দরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কর্তৃক প্রতারিত খুরভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষে

১) জমান আলি লক্ষন।

২) ইজিঃ রুহুল আমিন জাহেনী

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বি এসে বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক আত্মসাৎ কৃত টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

 

মোঃ মাহাবুব আলম রিপোর্টার

ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক” কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার নামে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবী।

আমরা উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে গমনেচ্ছু সহস্রাধিক প্রতারিত শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

ক্যামব্রিয়ান এডুকেসন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক (প্লট-২২, ৩য় তলা, সার্কেল- ২. গুলশান, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ) বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং পৃথিবীর উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা গ্রহণ করে এবং কলেজে সেশন ফি বাবদ যে টাকাগুলো দেওয়া হয় তা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে উক্ত কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেটি না করে মানি লন্ডারিং আইন বহির্ভূত কাজ করে। সেই টাকাগুলো আমাদের থেকে নিয়ে সে আত্মসাৎ করেছে।

মূলত সেই কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা গুলো স্টুডেন্ট একাউন্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু সেটি সে করেনি এবং বিদেশী কলেজ গুলোর ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে টাকা না পাঠিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এরকম ভুক্তভোগীর সংখ্যা শহস্রাধিক ও প্রত্যেকের পাওনা টাকার পরিমান গড়ে ২০ লক্ষ টাকা। তাঁদের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী ৮৫০+ শিক্ষার্থী। আমাদের ধারনা ২০০০+শিক্ষার্থীর মোট টাকা ৫শ কোটি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। বিগত সরকারের আমলে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করে। যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন বিপর্যন্ত হয়, এবং উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় এবং আর্থিকভাবে প্রতিটি পরিবার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে অনেক দেন- দরবার করার পর পাওনা টাকার বিপরীতে বিএসবি কর্তৃপক্ষ অনেক পাওনাদারকে বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল বাশার বাহার স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করে যা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে এবং পরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে যেলে বিএসবির চেয়ারম্যান খাইরুল বাশারের গুন্ডাবাহিনী আক্রমন চালায়। এছাড়া পাওনাদারদের ক্রমাগত টাকা না দেবার হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ২৭-৮-২০২৪ ইং তারিখে বিএসবির চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে এই মার্থ স্ট্যাম্প পেশারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, সমুদয় পাওনা টাকা ও কিস্তিতে যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সকলকে পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অর্থ প্রদানে বার্থ হয় ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ও সেখানে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। যা গুলশান থানা প্রশাসন অবগত আছেন।।

এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে টাকা উদ্ধার ও নিরাপত্তার জন্য অনেকে জিডি, প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছে এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা-আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর কার্যক্রম আনুমানিক ৩৫-৪০ দিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে ও অদ্যাবধি বন্ধ আছে এবং সকল মোবাইল না বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করছে না। এবং চেয়ারম্যান মে খাইরুল বাশার অজ্ঞাতস্থানে আত্মগোপনে রয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, এমতবস্থায় নিরুপায় হয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মাম- হাবীর শিক্ষাজীবন বিপর্যয়ের হাত

থেকে রক্ষা ও ভবিষ্যতে যেন কোন শিক্ষার্থী প্রতারিত না হয়, সেজন্য আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার, সেইসাথে অধিক প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এবং ক্যামব্রিয়ান এডুকোন এপ এর চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল বাশার ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন তথা দরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কর্তৃক প্রতারিত খুরভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষে

১) জমান আলি লক্ষন।

২) ইজিঃ রুহুল আমিন জাহেনী

শেয়ার করুন