ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
মেহেরপুরে ১’শ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক-২ ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর মৃত্যুতে রাসিক প্রশাসকের শোক নওগাঁয় পাষণ্ড স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর রাজস্ব বোর্ডের আয়কর আইনজীবী হতে চান দৈনিক হালচাল পত্রিকার সাংবাদিক আছানুল হক এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ  কুড়িগ্রামে ৩২.৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নওগার ঘাটনগরে মাদক নির্মূল কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাউজানের পশ্চিম গুজরায় সূলভ মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পেল ৪শ জন এনায়েতপুর ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মোমিন মন্ডলের পিএস সেলিম সরকার গ্রেফতার, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল ৬ থানার ওসি বদলী

কে এই ওলামা লীগের ওসমান গনি গোপালগঞ্জ দুদকে অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে

কে এই ওলামা লীগের ওসমান গনি গোপালগঞ্জ দুদকে অভিযোগ

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-

গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ও পরিবারের সদস্যদের নামে মাদ্রাসা ও দলের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে অবৈধ জায়গা জমি ক্রয় সহ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুদকে।

গোপালগঞ্জ জেলা দুদকে ওসমানের বিরুদ্ধে বেনামে একটি অভিযোগ দায়েরে হয়, তাতে পাওয়া যায়, মো. ওসমান গনি পিতা- ছাকেন শেখ, চর সুনাকুড়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ ছোট বেলা থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। তার কোন ব্যবসা বা আয়ের কোন উৎস ছিল না। কয়েক বছর পূর্বে ওসমান গনি গোপালগঞ্জ পৌরসভাধীন ১৩ নং ওয়ার্ডের, চর সোনাকুড়ে মৌজার দাগ নং-১৪৪ এ একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটিকে পুঁজি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে নামকরণ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুদান গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি এই অর্থের বিনিময়ে নিজের নাম সহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেন। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ওসমান গনি নিজেকে গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা লীগের সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে। সে মাদ্রাসার নামে টাকা এনে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে গড়েছে টাকার পাহাড়। সে যে মাদ্রাসার নামে টাকা উঠায় তাও সম্পূর্ণ আইন বিরোধী কারণ তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটির জায়গা ও বিল্ডিং এখনো তার নিজের নামে। অনুদান নিতে বা পেতে হলে মাদ্রাসার নামে এই সম্পত্তি দান করে তারপর মাদ্রাসার নামে টাকা তুলতে পারবে সে। এ ক্ষেত্রেও সে প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা করেছে । সে মাদ্রাসার নামে বহু টাকা প্রতারণা করেছে, বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ শহরের কয়েক জায়গায় ২৫ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ ও তারও বেশি টাকার জমি ক্রয়ের জন্য নিজের নামে বায়না করতে তাকে দেখা যায়। গোপালগঞ্জের বড় স্থানীয় নেতা, কর্মকর্তা সহ ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্টতা ওসমান গনীর সাথে আছে বলে অভিযোগকারী অভিযোগে উল্লেখ্য করেন

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এর আগেও এই ওসমান গনীর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের বার বার নির্বাচিত এম,পি জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু এর সাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময়ে পালিয়ে বেঁচে যায় সে।অভিযোগের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের এক ছায়া তদন্তে পাওয়া যায়, মাদ্রার ও এতিম খানার নামে ও ওলামা লীগের সাইনবোর্ডের আড়ালে নিজ আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে চর সোনাকুর সহ সমগ্র গোপালগঞ্জে গড়েছে মাদকের সাম্রাজ্য। তার ভাগিনা গোপালগঞ্জ জেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। ওসমানের বিরুদ্ধে গাড়ির চ্যাচিস চুরির ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ আছে বলে এলাকা বাসীরা জানান। প্রতারনা করে টাকা আয় করা তার ব্যবসা । সে যে মাদ্রাসার নামে অনুদান গ্রহন করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের জায়গাটা মাদ্রাসার নামে না করে তার নিজের নামেই রয়েছে। চতুরতার সহিত মাদ্রাসার নামে আদায় করা অনুদানের অর্থ দিয়ে সে ২য় তলা ভবন নির্মাণ করে, যে কোন মুহুত্বে মাদ্রাসার সাইন বোর্ড খুলে ফেললেই সকল স্থাপনা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যাবে। কিছুদিন পূর্বে তিনি গোপালগঞ্জের ব্যাংকপাড়া নিবাসী মরহুম সিরাজ মিয়ার ছেলে রনি মিয়ার কাছ থেকে জায়গা ক্রয়ের জন্য বায়না বাবদ ৩ লক্ষ২৭ হাজার টাকার দিয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ক্ষমতা খটিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করে নেন বলে জানান ভুক্তভোগী।

এ ব্যপারে দুদক আভিযুক্ত ওসমান গনীর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এ ব্যপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না। আপনার যা করার তাই করেন. আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।

ধর্ম বিক্রি করা ব্যবসা করে নিজের ও পরিবারের সম্পত্তি গড়ছে এদের কোন স্থান নেই ইহকালে ও পরোকালে। ওসমান গনী নামক এই লেবাছধারী ও ওলামালীগ সাধারণ সম্পাদক পরিচয় ধারী এই প্রতারকের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কে এই ওলামা লীগের ওসমান গনি গোপালগঞ্জ দুদকে অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

কে এই ওলামা লীগের ওসমান গনি গোপালগঞ্জ দুদকে অভিযোগ

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-

গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ও পরিবারের সদস্যদের নামে মাদ্রাসা ও দলের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে অবৈধ জায়গা জমি ক্রয় সহ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুদকে।

গোপালগঞ্জ জেলা দুদকে ওসমানের বিরুদ্ধে বেনামে একটি অভিযোগ দায়েরে হয়, তাতে পাওয়া যায়, মো. ওসমান গনি পিতা- ছাকেন শেখ, চর সুনাকুড়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ ছোট বেলা থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। তার কোন ব্যবসা বা আয়ের কোন উৎস ছিল না। কয়েক বছর পূর্বে ওসমান গনি গোপালগঞ্জ পৌরসভাধীন ১৩ নং ওয়ার্ডের, চর সোনাকুড়ে মৌজার দাগ নং-১৪৪ এ একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটিকে পুঁজি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে নামকরণ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুদান গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি এই অর্থের বিনিময়ে নিজের নাম সহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেন। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ওসমান গনি নিজেকে গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা লীগের সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে। সে মাদ্রাসার নামে টাকা এনে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে গড়েছে টাকার পাহাড়। সে যে মাদ্রাসার নামে টাকা উঠায় তাও সম্পূর্ণ আইন বিরোধী কারণ তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটির জায়গা ও বিল্ডিং এখনো তার নিজের নামে। অনুদান নিতে বা পেতে হলে মাদ্রাসার নামে এই সম্পত্তি দান করে তারপর মাদ্রাসার নামে টাকা তুলতে পারবে সে। এ ক্ষেত্রেও সে প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা করেছে । সে মাদ্রাসার নামে বহু টাকা প্রতারণা করেছে, বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ শহরের কয়েক জায়গায় ২৫ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ ও তারও বেশি টাকার জমি ক্রয়ের জন্য নিজের নামে বায়না করতে তাকে দেখা যায়। গোপালগঞ্জের বড় স্থানীয় নেতা, কর্মকর্তা সহ ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্টতা ওসমান গনীর সাথে আছে বলে অভিযোগকারী অভিযোগে উল্লেখ্য করেন

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এর আগেও এই ওসমান গনীর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের বার বার নির্বাচিত এম,পি জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু এর সাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময়ে পালিয়ে বেঁচে যায় সে।অভিযোগের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের এক ছায়া তদন্তে পাওয়া যায়, মাদ্রার ও এতিম খানার নামে ও ওলামা লীগের সাইনবোর্ডের আড়ালে নিজ আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে চর সোনাকুর সহ সমগ্র গোপালগঞ্জে গড়েছে মাদকের সাম্রাজ্য। তার ভাগিনা গোপালগঞ্জ জেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। ওসমানের বিরুদ্ধে গাড়ির চ্যাচিস চুরির ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ আছে বলে এলাকা বাসীরা জানান। প্রতারনা করে টাকা আয় করা তার ব্যবসা । সে যে মাদ্রাসার নামে অনুদান গ্রহন করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের জায়গাটা মাদ্রাসার নামে না করে তার নিজের নামেই রয়েছে। চতুরতার সহিত মাদ্রাসার নামে আদায় করা অনুদানের অর্থ দিয়ে সে ২য় তলা ভবন নির্মাণ করে, যে কোন মুহুত্বে মাদ্রাসার সাইন বোর্ড খুলে ফেললেই সকল স্থাপনা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যাবে। কিছুদিন পূর্বে তিনি গোপালগঞ্জের ব্যাংকপাড়া নিবাসী মরহুম সিরাজ মিয়ার ছেলে রনি মিয়ার কাছ থেকে জায়গা ক্রয়ের জন্য বায়না বাবদ ৩ লক্ষ২৭ হাজার টাকার দিয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ক্ষমতা খটিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করে নেন বলে জানান ভুক্তভোগী।

এ ব্যপারে দুদক আভিযুক্ত ওসমান গনীর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এ ব্যপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না। আপনার যা করার তাই করেন. আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।

ধর্ম বিক্রি করা ব্যবসা করে নিজের ও পরিবারের সম্পত্তি গড়ছে এদের কোন স্থান নেই ইহকালে ও পরোকালে। ওসমান গনী নামক এই লেবাছধারী ও ওলামালীগ সাধারণ সম্পাদক পরিচয় ধারী এই প্রতারকের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শেয়ার করুন