কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ৮৫ বস্তা ভেজাল টিএসপি সার ধ্বংস, দোকানদার পলাতক
- আপডেট সময় : ০৮:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় মেসার্স আল আদিয়াত ট্রেডার্সের মালিক মোঃ আবু মোতালেব শাহীনের দোকানে ৮৫ বস্তা ভেজাল বিসিআইসি টিএসপি সার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। পরবর্তীতে পরীক্ষায় ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই সার ধ্বংস করা হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট গছিডাঙ্গা বাজারে গ্রামীণ ব্যাংক সংলগ্ন মেসার্স আল আদিয়াত ট্রেডার্সের গুদাম থেকে সার জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে ভেজাল সন্দেহে ভ্রাম্যমাণ আদালত মালিককে জরিমানা করে।
পরবর্তীতে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সারের নমুনা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, লালবাগ, রংপুরে প্রেরণ করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত পরীক্ষার প্রতিবেদনে ভেজালের সত্যতা প্রমাণিত হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারে মোট ফসফেট থাকার কথা ৪৬ শতাংশ হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৩.০৫ শতাংশ। আর পানিতে দ্রবণীয় ফসফেট থাকার কথা ৪০ শতাংশ হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ১.৩৯ শতাংশ।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপ জন মিত্র এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে ৫০ কেজি ওজনের ৮৫ বস্তা ভেজাল টিএসপি সার ধ্বংস করা হয়।
ভেজাল টিএসপি সার ধ্বংস চলাকালে ডিলার মোঃ আবু মোতালেব শাহীন পলাতক থাকায় তার প্রতিনিধি হিসেবে এসএম মহিবুল নাইম শিমুল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় কৃষক এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূরুঙ্গামারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, জব্দকৃত ৮৫ বস্তার বাইরে আরও ৪০ বস্তা সার চৌধুরীবাজার এলাকায় হস্তান্তরের তথ্য পাওয়া গেছে, তবে অনুসন্ধান করেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া সরবরাহকারীর তথ্যও মেলেনি। তিনি আরও জানান, ডিলারের প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও নবায়ন করা ছিল না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা এ ধরনের ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকের স্বার্থে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।”






















