ওসমানীনগরে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার-ঘটনার আদ্যপান্ত জানিয়ে পুলিশ সুপার, সিলেট এর সংবাদ সম্মেলন।
- আপডেট সময় : ১১:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
আফতাব পারভেজ ডেস্ক নিউজ
অপরাধের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখী করা পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সেই দায়িত্বের প্রতি যথাযথ সম্মান এবং সজাগ দৃষ্টি দিয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ মাদ্রাসার ছাত্র আমিরুল ইসলাম (১৬)‘কে অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের মতো জঘণ্য ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করে জনসেবায় এক অনন্য ভূমিকা রেখেছে।
সিলেট জেলাধীন ওসমানীনগর থানার কিয়ামপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম (১৬) উমরপুর টাইটেল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত ০৯ অক্টোবর রবিবার নিজ বাড়ী হতে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিঁখোজ হয়। ভিকটিমের বাড়ীর লোকজন তার সন্ধানে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ খবর নিয়ে তার কোন সন্ধান পায় নি। এক পর্যায়ে ভিকটিমের পিতা ওসমানীনগর থানায় লিখিতভাবে জানালে গত ১২ অক্টোবর থানা পুলিশ বিষয়টি সাধারণ ডায়েরীভূক্ত করে তার সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন থানা পুলিশের একাধিক টিম গঠন করে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মো: রফিকুল ইসলামকে ভিকটিম উদ্ধারের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারকারি টিম সমূহকে তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ রহস্য উদ্ঘাটনে গিয়ে জানতে পারে ভিকটিমকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সে মোতাবেক উদ্ধারকারি টিমের সদস্যরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে গত ১৫ অক্টোবর রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রশিদপুরস্থ ফুলকলি শোরুমের সামনে থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ভিকটিমকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে তাকে অপহরণ করে হোটেলে আটক রেখে হাত-মুখ বেঁধে যৌন নির্যাতন করে। সে তথ্যের উপর ভিত্তি করে একই টিমের সদস্যরা অপহরণ কাজে জড়িত আসামীদের শনাক্তে মাঠে নামে। এক পর্যায়ে টিমের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে মো: নজরুল ইসলাম মেনু মিয়া (৫২)-কে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্থাগঞ্জ হতে আটক করা হয়। ঘটনার সাথে আরো কারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে ওসমানীনগর থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-১৬/১০/২০২২ খ্রিঃ, সংশ্লিষ্ট আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।