এন কে রোলেক্স সার্কাসের ম্যানেজার মোল্লা সাদেক সার্কাস শিল্পীদের বাঁচাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাছে আর্জি জানালেন
- আপডেট সময় : ০৯:০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
মোমিন আলি লস্কর বারুইপুর:-
সার্কাস বিনোদন কেন্দ্র হলেও প্রায়শঃই তা ভ্রাম্যমাণ যা দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে শুভেচ্ছা সফরে বা ব্যবসায়িক কারণে বের হয়। সকল সার্কাসই অবশ্য ভ্রাম্যমাণ নয়। কিছু সার্কাস দলের নিজস্ব ভবন বা মিলনায়তন রয়েছে। বারুইপুরের বিখ্যাত রাসমেলা সার্কাসের মুল আকর্ষণ নিয়ে শুরু হল বারুইপুরের বিখ্যাত রাসমেলা। বারুইপুরে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা । বারুইপুরের রায়চৌধুরীর পরিবারের রাসমেলা আজ থেকে ৩০০ বছর আগে মদন মল্লিক ইংরেজ শাসনের গোড়ায় রায়চৌধুরী উপধিক লাভ করেন। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতা বালিগঞ্জ থেকে সূদূর দক্ষিণ 24পরগনার জেলার সাগর সহ গোটা সুন্দরবনের পত্তনী লাভ করেন মদন রায়চৌধুরী। বাঙালির,, বারোমাসে তেরপারর্বন,,এরসব পার্বন চালু হয় জমিদার বাড়িতে। দূর্গা পূজা, কালীপূজা বিপত্তারিণী পূজার পাশাপাশি রথযাত্রা ও রাস উৎসব চালু হয় দেউড়ির মাঠে।এই রাস মেলার আকর্ষণ মূলক খাবার গুলি হল বাদাম -মক্কা খৈ , মাটির জিনিস পত্র, জিলিপি গজা সহ একাধিক জিনিস পত্র।মেলায় বারুইপুর সহ আশেপাশের ক্যানিং, জয়নগর, মগরা হাট, বিষ্ণুপুর, সোনারপুর, তথা দক্ষিণ ২৪পরগনার বিভিন্ন জায়গায় থেকে বারুইপুর রায়চৌধুরীর বাড়ির রাস মাঠে অনুষ্ঠিত রাস মেলা দেখতে আসে।এন কে রোলেক্স সার্কাসের ম্যানেজার মোল্লা সাদেক বলেন সারর্কাস আস্তে আস্তে বন্ধের মুখে। তবুও আমাদের সার্কাসের শিল্পীরা লড়াই করে বাঁচিয়ে রেখেছে।তবে একে রোলেক্স সার্কাস এশিয়ান বাংলার গৌরব সার্কাস।এই সার্কাস সূদূর উড়িষ্যা থেকে বারুইপুরে ঐতিহ্যবাহী রায়চৌধুরীর পরিবারের রাসমাঠে রাসমেলা এসেছি। সার্কাস এমন জিনিস ফিলিংস একসঙ্গে দেখা যায়না কিন্তু সার্কাস পরিবার পরিজন কে নিয়ে একসঙ্গে বসে দেখা যায়। তিনি বলেন আমাদের এন কে রোলেক্স সার্কাস সূদূর মনিপুর শিল্পীরা এসেছে খেলা দেখতে কিন্তু বর্তমানে মনিপুরে হিংসার আগুন জ্জলছে।তা সত্য ও মনিপুরের শিল্পীরা বাড়ির মায়া মমতা ত্যাগ করে বাড়ির স্বপ্ন ভুলে মানুষ কে আনন্দ দেওয়ার জন্য বাংলার বুকে সার্কাস খেলা দেখতে এসেছে।যখন খেলা শেষ হয় তখন ওদের বাড়ির পরিবারের কথা মনে পড়ে । মনিপুরের পরিস্থিতি শুনে তাদের মন আকুল হয়ে ওঠে । কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস মনিপুরে তেমন কোন কাজ না থাকায় নাম লিখে হয় সার্কাসে ।তাই সার্কাস খেলা দেখানোর তাগিদে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে হয় তাদের কে । মনিপুর আগুনে জ্জ্বলছে কিন্তু পেটের জ্বালায় পরিবার কে নিয়ে এন কে রোলেক্স সার্কাসের তারা মরন মুখি খেলা বাংলার মধ্যে দেখাছে।তিনি বলেন মনিপুর আর্টিস্টরা দাবি করেন মনিপুর থেকে বাংলা অনেক টা দূরত্ব কিন্তু মনিপুর চেয়ে বাংলা অনেক টা শান্ত ।বাংলায় যেমন শান্তি আছে মনিপুরে এরকম শান্তি নেই।এনকে রোনাক্স সার্কাসের ম্যানেজার মোল্লা সাদেক বলেন একটি ভোটের মূল্য অনেক বেশি । আমরা কখনো গোয়া কখনো ব্যাঙ্গালোর ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে খেলা দেখাতে যায় কিন্তু ভোটের সময় আমাদের বাড়িতে ফিরতে খুব অসুবিধা মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি আমরা তৎকাল টিকিট পাই না তবুও বেশি পয়সা দিয়ে আমরা টিকিট কেটে বাড়িতে এসে ভোট দিয়ে থাকি ।তাই এন কে রোলেক্স সার্কাস পক্ষ থেকে আমার দাবি সার্কাস শিল্পীর জন্য একটু চিন্তা করুন যাতে সার্কাস শিল্পীরা কিভাবে বাঁচবে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আরজি রইল তিনি বলেন আমরা মাঠে-ঘাটে কাজ করতে পারবো না আমাদের পরিবার-পরিজন সার্কাসের উপর নির্ভর করে আর নতুন করে নিয়ম হয়েছে ১৪ বছর ছেলে মেয়েদের সার্কাস খেলা করাতে পারবেনা তিনি বলেন আগেকার সময় যেমন বাঘ ভাল্লুক জীব জন্তু এলে গর্জনের শীতের আমেজে রাস মেলা শুরু হয়েছে বলা যেত কিন্তু সে প্রভাব নেই। তবে আমি বলব মনিপুর আটিসরা যে খেলা দেখাচ্ছেন তাতে মানুষের মন জয় করবে তিনি বলেন বর্তমানে এই সার্কাসের আর্টিস্টরা কেউ ফ্রিজ কোম্পানির কাজে কেউ টোটো চালানোর কাজে সংযুক্ত হচ্ছে। এবং নতুন করে কেউ সার্কাস খেলার যুক্ত হচ্ছে না তাই সার্কাস শিল্পীরা কিভাবে বাঁচবে তার জন্য আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাছে। আরজি রাখলাম তিনি দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী যদি সার্কাস শিল্পীদের জন্য একটি ভাতা চালু করেন তা হলে সার্কাস শিল্পীরা আরো উৎসাহিত হয়ে সার্কাস দেখানোর উদ্যোগী এবং আনন্দিত হবেন।তাদে সার্কাসের মর্যাদা আরো বাড়বে।