উপজেলা সাব রেজিস্টার কার্যালয় কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন।
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সাব রেজিস্টার অফিসে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আজ সকাল 10 ঘটিকার সময় উপজেলায় এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের প্রকৃত ঘটনা দৌলতপুর উপজেলা সহ দেশবাসীকে অবগতির জন্য দৌলতপুর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শের আলী সবুজ আজ রাত ৯:৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন । শের আলী সবুজ তার লিখিত বক্তব্যে জানান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার আমলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সাব রেজিস্টার কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে নিয়মিত চাঁদাবাজি হয়ে আসছিল প্রতিদিন এইসব চাঁদার লাখ লাখ টাকা নেয়া হতো উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা নানা সুবিধা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা থেকে । সম্প্রতি ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারা দেশের মতো দৌলতপুরের মানুষ ইতিবাচক সংস্কারের স্বপ্ন দেখছে। গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম জিয়া এবং তরুণ যুবকের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো দেশে ন্যায়-নীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ এলাকায় দুর্নীতি চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে সজাগ দৃষ্টি রেখে আসছে স্থানীয় ছাত্র জনতা। এমতাবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে কিছু লোক বিএনপি দলীয় নানা সংগঠন ও পদের নাম ভাঙ্গিয়ে দৌলতপুর সাব রেজিস্টার কার্যালয়সহ নানা দপ্তরে চাঁদা দাবি করে । কোন প্রকার দুর্নীতি হচ্ছে না স্পষ্ট জানিয়ে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাই সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে বুধবার সকালে জানা যায় বহিরাগত রতন ,পিতা তোফাজ্জল, আসাদ, পিতা আকবর, রিমন , পিতা অজ্ঞাত ও স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আকবর হোসেনের ছেলে কর্নেলের নেতৃত্বে পুনরায়
চাঁদার দাবিতে অস্ত্রসহ নিয়ে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বাজারে এসেছে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ফয়সাল, পিতা ফরিদ, নোবেল, পিতা টুটুল, হাবিব, পিতা শহিদুল সহ আরো ১৫-২০জনের একটি সন্ত্রাসী দল ।
স্থানীয় বিএনপির জৈষ্ঠ নেতারা তাদের চলে যেতে বললে আকস্মিকভাবে তারা একেকজনের কোমর থেকে হাতুর ,লোহার রড , হাত কুড়াল ,রামদা ও পিস্তল বের করে।
এ ঘটনা দেখে স্থানীয় জনতা তাদের প্রতিহত করে। এ সময় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কয়েকজন এবং স্থানীয় জনতার কয়েকজন আহত হয়। কিন্তু আমরা হতবাক হই তখন, যখন দেখি চাঁদাবাজ গ্রুপটি নিজেরাই ফেসবুক সহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদল ,স্বেচ্ছাসেবক দল ,যুবদল ও বিএনপি সংগঠনের নামে ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে।বাংলাদেশের গণতন্ত্র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অগ্রপথিক এই সংগঠনের নামে অপপ্রচার বন্ধ ও প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবহার করা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে জোর অনুরোধ জানাতে এবং রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যমকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজকের এই জরুরী সংবাদ সম্মেলন। তিনি আরো জানান বিষয়টি দৌলতপুর থানায় অবগত করা হয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হামিদুল ইসলাম ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি । রাশেদুল হক শামীম, আহ্বায়ক , স্বেচ্ছাসেবক দল দৌলতপুর উপজেলা শাখা ,আসাউল হক স্বেচ্ছাসেবক দল দৌলতপুর উপজেলা শাখা , কামরুল ইসলাম যুগ্ম আহ্বায়ক স্বেচ্ছাসেবক দল দৌলতপুর উপজেলা শাখা মাসুদুজ্জামান রুবেল, আহ্বায়ক, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদল।