উত্তরাঞ্চলে শীতের আগমন
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২ ৭০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ পজিরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঠাকুরগাঁও জেলায় সাতসকালে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় টের মিলছে, শিশির ভেজা ভোর যেন জানান দিচ্ছে শীত এসেছে প্রকৃতিতে। সন্ধ্যার আগেই প্রকৃতিতে ভর করছে কুয়াশা। নেমে আসছে শীতের আমেজ। কার্তিকের শুরু থেকেই এমন শীতের আবহ দেখা গেছে দেশের উত্তরে হিমালয়ের কোলঘেঁষা।
হেমন্তের শিশির বিন্দুতে মাঠ ঘাটের ঘাস ও গাছ পালার রঙও এখন ধূসর প্রায়। শীতের আগমনী বার্তায় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সোনারাঙা রোদ। বিকেল পাঁচটা না বাজতেই পশ্চিমে ঢলে পড়ছে সূর্য। গোধূলি লগ্ন পেরিয়ে জলদিই নেমে আসছে সন্ধ্যা। ভোরের আলো ফুটতেই স্নিগ্ধ শিশিরে ভেজা সবুজ ধানের পাতাগুলো নুয়ে পড়ছে হাওয়ায়।
বর্তমানে দিনের বেলায় কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। রাত যত গভীর হয় ঠাণ্ডাও ততো বাড়তে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং হওয়ার পরদিন থেকে জেলায় বেড়েছে শীত ও কুয়াশা।
সিত্রাং হওয়ার পরদিন থেকেই সন্ধ্যা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়া শুরু করেছে। তাই এবার হয়তো গতবারের তুলনায় শীতের প্রকোপ বেশি হতে পারে।
প্রায় প্রতিবছর এ জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় সরকারকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে সঠিকভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করার দাবি ও অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।
এক ব্যক্তি বলেন, ঠাকুরগাঁও একটি সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিবারে এখানে শীত আগেই শুরু হয়ে যায়। আমাদের জেলায় অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষ আছেন যারা শীতের সময় শীতবস্ত্রের অভাবে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেন। তাই আমি সরকারকে অনুরোধ করবো এধরণের মানুষ গুলোকে শীতবস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার। তাছাড়াও যারা বিত্তবান আছে তারাও যেন শীতবস্ত্র দিয়ে এই মানুষ গুলোর পাশে থাকেন।